হরিপাল আশ্রমিক এর উদ‍্যোগে রক্তদান শিবির ও মাস্ক বিলি স্বাধীনতা দিবসে

15th August 2020 7:27 pm হুগলী
হরিপাল আশ্রমিক এর উদ‍্যোগে রক্তদান শিবির ও মাস্ক বিলি স্বাধীনতা দিবসে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হরিপাল ) :   হুগলি জেলার  প্রাচীন নাট্যদল -  হরিপাল আশ্রমিক প্রতিবছরের মত এই বছরও ১৫ ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের পুণ্য দিনে সামাজিক উন্নয়নে সামিল হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় তৃতীয় বর্ষের রক্তদান শিবির। সেই সঙ্গে করোনার অতিমারী আবহে এলাকার পথচলতি মানুষদের হাতে তুলে দেওয়া হলো বিনামূল্যে মাস্কও স্যানিটাইজার। শিবিরে সর্বমোট ২৩ জন রক্তদাতা রক্তদান করেন  । প্রতি রক্তদাতাকেও মাস্ক ও স্যানিটাইজার  দেওয়া হয়।উপস্থিত ছিলেন হরিপালের বিধায়ক  বেচারাম মান্না ,আশুতোষ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান  সুমিত সরকার, হরিপাল বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড:মৈনাক দে, সংস্থার সভাপতি শ্রী রঘুনাথ চৌধুরী, সহ: সভাপতি ড:চন্ডিচরণ ঘোষ ,পঙ্কজ দাস সহ সদস্য  সদস্যাগণ। দলের সম্পাদক ভাস্কর দাস বলেন --"সারাবছর নাট্য চর্চার পাশাপাশি তাঁরা সামাজিক দায়িত্ব পালনেও দায়বদ্ধ। প্রতিবছরের মত এই বছরেও করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনিক বিধি মেনে ,সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অসহায় রোগীদের কল্যান সাধনে তাঁদের এই  রক্তদান শিবিরের আয়োজন।"





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।